তথ্য-প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে ডিজিটাল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রযুক্তি খাত। অথচ প্রযুক্তির এ সুফলকে ভালো কাজে ব্যবহার না করে ‘ডিজিটাল’ মাধ্যমে সক্রিয় হয়ে উঠেছে প্রতারক চক্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে ব্যাংকের অর্থ হ্যাকিং-এমন কোনো সেক্টর বাদ নেই যেখানে প্রতারক চক্র হানা দিয়ে অর্থ ও তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে না। সাধারণ প্রতারকদের মতো বর্তমানে শিক্ষিতরাও ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছে ডিজিটাল প্রতারণায়। বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হলেও কয়েক দিনের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও তারা শুরু করে প্রতারণা। তথ্য-প্রযুক্তিবিদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রযুক্তিগত দুর্বলতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ডিজিটাল প্রতারক চক্র। প্রতারণার শিকারদের বেশিরভাগই মামলা করতে না চাওয়ায় এ সংক্রান্ত অপরাধের প্রকৃত তথ্য জানা যায় না। প্রতারণা থেকে মুক্তির জন্য আইনের প্রয়োগের চেয়ে নাগরিকদের প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতনতা বেশি দরকার।
প্রযুক্তিবিদ ও আইন-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইনে বিভিন্ন গ্রুপে যোগাযোগ, চাকরি দেওয়া, এমএলএল ব্যবসা, জিনের বাদশাহ সেজে উপকার করা, কম খরচে বিদেশ পাঠানো, মোবাইল ফোনে বড় পুরস্কার জেতা, জাদুর বাক্সে টাকাকে ডলারে রূপান্তর, কম দামে ভালো পণ্য বিক্রি, জমি লিজ ও প্লট বিক্রিসহ নানা ধরনের প্রলোভনে ফেলে প্রতারণা করে যাচ্ছে ডিজিটাল প্রতারক চক্র। এসব চক্র ছলচাতুরীতে ভুলিয়ে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ ব্যাংকিং লেনদেন, মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংসহ প্রতিটি সেক্টর থেকে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। একসময় সহজ-সরল মানুষকে নানা ছলচাতুরী ও মিথ্যা প্রলোভনে ফেলে ডিজিটালি প্রতারণা করলেও বর্তমানে শিক্ষিতরাও ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আবার সাধারণ প্রতারকদের মতো শিক্ষিতরাও ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েছেন ডিজিটাল প্রতারণায়। ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়াসহ ফরিদপুরের বেশ কিছু এলাকায় পারিবারের সদস্যরাই ডিজিটাল প্রতারণায় সক্রিয়তার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দারা।
প্রতারণা থেকে বাঁচতে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারসহ সব ধরনের প্রযুক্তিপণ্য ব্যবহারে খুবই সতর্ক হতে হবে। কারও সঙ্গে যোগাযোগের সময় গোপন তথ্য শেয়ার করা যাবে না। তেমনি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ওয়েবসাইটের কোনো তথ্য বা লিংক যাচাই না করে ক্লিক করা যাবে না।
ডিজিটাল প্রতারণা থেকে সাবধান!
এক সময় যেসব কাজ করতে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হতো এবং অনেক সময় লাগত, সেসব কাজ এখন প্রযুক্তির কল্যাণে সহজেই করা যায়।
এক সময় টাকা লেনদেন করার মাধ্যম ছিল ব্যাংক, ডাক বিভাগ; অথবা হাতে হাতে লেনদেন করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন চালু হয়েছে ডিজিটাল লেনদেন।
এখন আর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে কিংবা প্রয়োজনে কোথাও দ্রুত টাকা পাঠাতে কোনো ঝক্কি পোহাতে হয় না। ঘরে বসে সহজেই ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়।
এক সময় টাকা লেনদেন করার মাধ্যম ছিল ব্যাংক, ডাক বিভাগ; অথবা হাতে হাতে লেনদেন করা হতো। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির ফলে এখন চালু হয়েছে ডিজিটাল লেনদেন।
এখন আর শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে কিংবা প্রয়োজনে কোথাও দ্রুত টাকা পাঠাতে কোনো ঝক্কি পোহাতে হয় না। ঘরে বসে সহজেই ডিজিটাল মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায়।
ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন বেশ নিরাপদ। প্রযুক্তির সহায়তায় এই লেনদেনকে আরও সহজ ও গ্রাহকবান্ধব করতে বেশ কয়েকটি ব্যাংক ডিজিটাল লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। গ্রাহকরা তাদের সুবিধামতো স্মার্টফোন কিংবা সাধারণ ফোন দিয়েও লেনদেন করতে পারছে সহজেই।
তবে ঘরে বসে অর্থ লেনদেন করতে পারলেও এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। একশ্রেণির প্রতারক সবসময় ওঁৎ পেতে থাকে প্রতারণা করার জন্য। পৃথিবীতে মানুষের কল্যাণের জন্য যত প্রযুক্তিই আবিষ্কার হোক না কেনো, তার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ফায়দা হাসিলের লোকের সংখ্যাও কম নয়।
বর্তমানে ঘরে, ব্যবসা কেন্দ্রে কিংবা যে কোনো জায়গা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করার সুবিধা থাকায় নগদ অর্থ লেনদেনের ঝামেলা কমে গেলেও ডিজিটাল প্রতারকদের ফাঁদ থেকে মুক্ত থাকাও বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে ভুল নম্বরে অন্যত্র টাকা পাঠিয়ে দিয়ে ঝামেলা পোহানোর ঘটনাও কম নয়।
ডিজিটাল প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব হারানোর বহু ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে সবকিছুই আমাদের হাতের মুঠোয় চলে আসছে। এসব প্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক ব্যবহার আছে, তেমনি দুষ্ট লোকেরা প্রযুক্তির অপব্যবহারসহ নানা প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসে থাকে।
আগে তাদের প্রতারণার ধরন ছিল একরকম, প্রযুক্তির উন্নতির পর তাদের প্রতারণার ধরনে এসেছে পরিবর্তন। মনে রাখতে হবে, প্রতারিত হয়ে গেলে প্রতারকদের কাছ থেকে টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তাই প্রতারকদের দ্বারা প্রতারিত হওয়ার আগেই সচেতন হতে হবে। কাউকে টাকা পাঠানোর সময় নম্বর সঠিক হয়েছে কিনা তা একাধিকবার দেখে নিতে হবে।
তেমনি কাউকে নম্বর দেওয়ার সময় সঠিক নম্বর দেওয়া হচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, যখন কেউ ফোন করে পিন নম্বর চায় কিংবা ‘টাকা চলে এসেছে, ফেরত দিন’ বলে, তখন সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কেটে দিয়ে নিজের ব্যালেন্স চেক করে এবং যারা এ বিষয়ে ভালো বোঝে তাদের পরামর্শ নিয়ে তারপর টাকা ফেরত প্রদান কিংবা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একটু সাবধানতা অবলম্বনেই প্রতারণা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
Nice article, sir! Thank you for sharing this working trick.
ReplyDeleteThanks
ReplyDelete♥️ Thanks
ReplyDeleteGood Article
ReplyDeleteGreat Job
ReplyDeleteThank You 🔥
ReplyDeleteGreat Job
ReplyDeleteNice article
ReplyDeleteThank you
ReplyDelete