দেশ দ্রুতগতিতে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারণা।
ডিজিটাল প্রতারণা থেকে নিজেকে বাঁচাতে হলে এ বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে। প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে এ ধরনের শর্ত বা চুক্তি এড়িয়ে চলতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যে আইনি ফাঁকফোঁকর যাতে না থাকে, সে বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে। কাউকে না বুঝে, না জেনে তার কোনো ছবি বিনিময় করা, গোপন তথ্য বা বিষয় শেয়ার করা যাবে না। সচারচর কারোর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে না যাওয়া হবে বুদ্ধিমানের কাজ। প্রতারণার ফাঁদ থেকে নিজেকে বাঁচাতে কারোর মুখের কথায় বিশ্বাস করা উচিত নয়। নিজে সচেতন থাকতে হবে। কেউ প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল আইনে মামলা করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতারককে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রসরমান আজ। কিন্তু দুঃখের বিষয় অনেক ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়নি। যেমন, মোবাইল ব্যাংকিং নিরাপদ নয়, সেখানেও গড়ে উঠেছে বিশেষ পদ্ধতির প্রতারণা।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে মানুষ অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। তবে অনেক মানুষ প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন। কারণ তারা ঠিকমতো ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন না। এই প্রতারণা থেকে বাঁচার উপায় হলো, জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও অনলাইনের মাধ্যমে ঘন ঘন প্রচার-প্রচারণা চালানো। তা-না হলে সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই প্রতারণার ফাঁদে পড়বেন।
এখন প্রায় সারা বিশ্ব ডিজিটাল পদ্ধতিতে চলছে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশের ডিজিটাল ব্যবস্থা সঠিক ও সুন্দরভাবে চলছে না। পদে পদে আমাদের হতে হয় হয়রানি ও প্রতারণার শিকার। যারা প্রতারণা করে তাদের রুখতে হবে সম্মিলিতভাবে।
ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্র ও পরিধি দিনদিন বিস্তৃত হচ্ছে। সরকারের বিশেষ গুরুত্ব ও মনোযোগের আশীর্বাদপুষ্ট আইসিটি খাতের এমন অভাবনীয় ক্রমোন্নতির পথে সম্ভাব্য অনেক প্রতিবন্ধকতার মধ্যে অনিবার্য একটি বাধার নাম ‘ডিজিটাল প্রতারণা’। সেবার খাত ও আওতা বৃদ্ধির সমান্তরালেই জালিয়াত চক্রের অপকর্মের কৌশল বিস্তার লাভ করছে। বিশেষ করে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব ও এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর এবং ফেসবুক ও ইমেইল আইডি হ্যাক করে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং অর্থ চুরি বহুল সংঘটিত প্রতারণা। ডিজিটাল সেবাকে নিরাপদ করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার ও সচেতনতা কর্মসূচিতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। অন্যদিকে প্রতারণা থেকে বাঁচতে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সতর্কতার বিকল্প নেই।
বর্তমানে দেশ দ্রুতগতিতে ডিজিটাল হয়ে উঠছে। এজন্য মানুষ বিভিন্ন কঠিন কাজ অনলাইনে সহজে করতে পারছে; কিন্তু সেই সঙ্গে বাড়ছে ডিজিটাল প্রতারণা। এই প্রতারণা রুখতে আমাদের কিছু করণীয় রয়েছে। প্রথমত, মোবাইলে নানা সময় বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মেসেজ আসে। এই মেসেজ সঠিক কি না, তা যাচাই করতে হবে। কেননা, অনেক সময় গ্রাহক পণ্যের টাকা পরিশোধ করেও পণ্যটি পাচ্ছেন না। অর্থাৎ তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এই বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার। দ্বিতীয়ত, মোবাইল ফোন খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। কেননা মোবাইল ফোনে অনেক সময় প্রতারক চক্রের গ্রুপ সক্রিয় থাকে। তৃতীয়ত, মোবাইলে মেসেজ এলে তা ভালো করে পড়ে নিতে হবে। ভুলেও না পড়ে মেসেজ ক্লিক করা যাবে না। এভাবে আমরা প্রতারণা রুখতে পারি।
আপনি একটি অসাধারণ সামগ্রিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। এমন উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!
ReplyDeleteKeep up the fantastic work!
ReplyDeleteধন্যবাদ
ReplyDelete